ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মগটুলা ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের কাছারি বাড়ির জমিতে অবৈধভাবে দ্বিতল ভবন নির্মাণের সময় বাধা দেয়ায় ভূমি কর্মকর্তাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
ভূমি কর্মকর্তার দাবি, তাকে ‘খেয়ে ফেলবেন’ বলে হুমকি দিয়েছেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী মো. শামীম আল নঈম।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেছেন এই ছাত্রলীগ নেতা। তার দাবি, ঘুষ না দেয়ায় তার বাড়ির অংশ বিশেষ ভেঙে দেয়া হয়েছে।
উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের মধুপুর বাজারে ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়। সরকারি চার শতক জমিতে রয়েছে কার্যালয়টি।
কাছারি বাড়ি নামে রেকর্ডভুক্ত হওয়া জমির পাশে অল্প পরিমাণে জমি কেনেন এই ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও ব্যবসায়ী মো. শামীম আল নঈম।
কাছারির জমিতে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় সোমবার দুপুর একটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনামিকা নজরুল অভিযান চালিয়ে নির্মিতব্য ভবনটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে দেন।
তারপরেও কিছু অংশ এখনও ভাঙার বাকি রয়েছে। ভবন ভাঙায় হুমকি দেয়া হয়েছে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (নাইব) মো. আজিজুল হককে।
আজিজুল হক বলেন, “ক্ষমতা দেখিয়ে কাছারির জমিতে জোরপূর্বক ভবন নির্মাণ করেছেন। লকডাউনে অফিসে না থাকার সুযোগে এই কাজ করা হয়েছে। এখন উচ্ছেদ করায় আমাকে বলছে ‘তোরে দেইক্কা ছাড়বাম, তোরে খায়া ফালবাম। কামডা তুই বালা করলি না’।”
তবে শামীম সরকারের দাবি, তিনি কোনো হুমকি দেননি।
নাইব তার কাছে দেড় লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমি টাকা দেইনি বলে ভবনটি ভেঙে দেয়া হয়েছে।’
তিনি নিজের জায়গাতেই ভবন নির্মাণ করেছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘এর পরেও যদি আমার ভবন খাস জায়গায় পড়ে তাহলে মেপে আমাকে জানাতে পারত।’
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘তিনি (আজিজুল হক) সরকারি জায়গাতে ভবন নির্মাণ করেছিলেন।’
সরকারি জমিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত চলার পর হুমকি দেয়ায় অভিযোগ এনে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে মামলা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান ইউএনও।